বিশ্বের স্মার্টফোনের তালিকায় শীর্ষে থাকা আইফোন নিয়ে ক্রেতাদের রয়েছে বাড়তি উন্মাদনা। সেই উন্মাদনা নতুন সিরিজ আসার সময় যেমন শুরু হয় তেমনি দেখা যায় নতুন সিরিজ আসার খবরেও। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়, আইফোন ১৫ এর কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই।
সেপ্টেম্বরেই আসছে আইফোন ১৫ সিরিজ। তবে এর আগেই জানা যায় আইফোন ১৫ এর ফিচার সম্পর্কে। কৌতুহলের কারণে সাধারণত ডিভাইসটি বাজারে আসার আগেই এর সম্পর্কে অনেক কিছুই প্রকাশিত হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মত এবারও ঘটল একই ঘটনা। এবার ফাঁস হলো আইফোন ১৫ প্রো ফোনের আপডেট ফিচারের ব্যাপারে। অনেকের দাবি, নতুন আইফোন ১৫ প্রো-তে এমন সব দেখতে পাওয়া যাবে, আগে যা কোনো মডেলে দেখা যায়নি।
আইফোন ১৫ প্রো একটি রাউন্ডার এজ ডিজাইনসহ একটি টাইটানিয়াম ফ্রেমের সাথে আসবে। এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় ফোনটিকে হাতে ধরে রাখতে আরও সহজ ও আরামদায়ক করে তুলবে। থাকবে ইউএসবি-সি চার্জার পোর্ট। এতে ক্যাবলের মাধ্যমে, প্রতি সেকেন্ডে ৪০ জিবি পর্যন্ত ডেটা ট্রান্সফার করা যাবে।
নতুন আইফোনে যে বৈশিষ্ট্যগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হল ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। সেপ্টেম্বরেই বাজারে আসছে অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৫। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইটের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইফোন ১৫ প্রো-তে একটি টাইটানিয়াম ফ্রেম ও গোলাকার টপ নচের সঙ্গে আসবে। এখন পর্যন্ত আইফোনে শার্প এজ পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগামী দিনে তা নাও থাকতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, আইফোন ১৫ প্রো-তে সেন্সরের আকার বাড়াতে পারে। যে কারণে ক্যামেরা মডিউলের পুরুত্ব বাড়বে। এটাও বলা হচ্ছে যে নতুন ফোনের ক্যামেরার আকার আইফোন ১৪-এর তুলনায় দ্বিগুণ বড় হতে পারে। আইফোন ১৫ প্রো-তে ফিজিক্যাল বোতাম পাবেন না, স্পর্শের মাধ্যমে ফোনে কমান্ড দিতে পারবেন। নতুন আইফোনের ডিজাইনের বিষয়ে লিকগুলোতে বলা হয়েছে, সংস্থা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা (১.৫৫ এমএম) বেজেল সহ আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স লঞ্চ করবে।
এবার আইফোন ১৫-তে কালার আপডেটও আনছে সংস্থাটি। ডিপ রেড, পার্পল, গ্রিন, ডার্ক ব্লু কালার দেখা যাবে আইফোন ১৫ সিরিজে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়বে আইফোনের পরবর্তী সংস্করণের দামের ওপর। আগের তুলনায় প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে নতুন মূল্য হতে পারে ১ হাজার ২৯৯ মার্কিন ডলার। তবে অ্যাপল এর প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেছেন, দাম বৃদ্ধি তাদের বিক্রিতে কোন প্রভাব ফেলবে না। একই ক্যাটাগরির ফোনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম ফোনটি কিনতে, ভোক্তারা আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতেও রাজি আছেন।